“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮

ঈশ্বর ও কষাই

।। সুমন পাটারী ।।

(C)Image:ছবি










ক এপ্রিলের দুপুরে ঈশ্বর পৃথিবীতে এলেন,
তিনি দেখলেন পৃথিবীতে মানব ধর্ম নেই
কিছু কষাই ও কিছু ছাগল নিয়ে
বাস্তুতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সাম্য ধার্য করা হয়েছে।
ঈশ্বরের অপমান ও ক্ষোভে ফেটে পড়াই স্বাভাবিক।
তারপর তিনি রাজপথে নামলেন
মুখোমুখি কষাই ও ঈশ্বর--
ধীরে ধীরে ছাগলগুলি মুখ খুলল
সেই থেকে কিছু মানুষ হয়েছে, কিছু গরু।
এখন গরুরা বিষ্ণু উপাধি পেয়েছে
মানুষ গুলো পুনরায় ছাগল উপাধি পাচ্ছে।
পৃথিবীতে বাড়ছে এমন কিছু নাস্তিকের সন্ত্রাস
যারা জানেনা ঈশ্বরের অবতার,
না'জানে বিষ্ণুর আসল পরিচয়।
তাই এখন তারা ঈশ্বরকে
একটি দলের প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য করছে।
আসলে ঈশ্বরের কোনো দল হয় না,
তিনি কোনো স্পর্ধায় আসেন না,
খোলা মাঠ যার মন্দির
সে এক জায়গায় বছরের পর বছর দাঁড়িয়ে
কীভাবে দেখবে প্রান্তিকের দুর্দশা!
ভেঙেছে ভালোই হয়েছে
পাথরে পুঞ্জীভূত না হয়ে ঈশ্বরের আত্মা
বাতাসে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে
সে দেখুক জীবন্ত চোখ দিয়ে জীবন কেমন আছে!
একশ বিশ কোটি এপ্রিলের শিশুর জন্মের সময় খুব কাছে চলে এসেছে।


কোন মন্তব্য নেই: