“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮

ভয়

।। সুপ্রদীপ দত্তরায়।। 

(C)Image:ছবি













পিঠ ঠেকেছে দেওয়ালে
আর কতটা পিছনে যাবো।
অসীম সাহসে বলছে ভয়
এবার তোদের মুণ্ডু খাবো।
কতটা ভয় পেলে মানুষের মৃত্যু হয় 
আমি জানি না, তবে ভয় পাওয়াটা 
আমার অভ্যাস হয়ে গেছে এতদিনে
ভয়কে আমার আর ভয় মনে হয় না।
সে আজকাল আমার প্রতিবেশী হয়
ঘুম থেকে উঠেই দেখা, আমি বাথরুমে 
হঠাৎই মাথা ঘুরে -- , আমি আধঘুমে 
কিংবা হয়তো সকালে বাজারে যাচ্ছি 
একটা বাইক কায়দা করে এসে ধাক্কা 
আমি ছিটকে রাস্তায়, বুঝতে পারছি 
কয়েকদিনের জন্য বিছানাটা পাক্কা ।
অফিসের বড় সাহেব, কাজের ঢেঁড়স
কিন্তু চিৎকার হাহাকারে জুড়ি মেলা ভার 
যখন তখন তার নানা কাজে হুংকার 
পছন্দ না হয় তবে করে দেবে ট্রান্সফার ।
আমি আর ওই সবে ভয় পাই না ।
বাড়িতে ফিরেছি গিন্নীর আবদার
ধনতরাসে তনিস্কেতে যাবো
যদি নিয়ে যাও, ভালো নইলে চললাম 
কোথায় ? দুরে নয় বাপের বাড়ি ।
এ যেন ডাল ভাত তরকারি ।
আমিও আর ভয় পাই না কিছুতেই, 
ভয়টাকে ভয় পেতে পেতে একদিন আমি 
বেমালুম সবটাই জয় করে নিয়েছি তার ।
এখন আমি ভয় পাই না আর।
ভয়ের রাজ্যে আমি নইতো একা
অনেক অনেক 'আমি'-র এখন 
দেওয়ালে পিঠ ঠেকা, আর পথ নেই ।
 হ্যাঁ, আর কোন পথ নেই খোলা  
ভয়ের মৃত্যুতে আমাদের মুক্তি 
নয়তো এখানেই যবনিকা ।
বন্ধু,  শুভেচ্ছা রইলো ।


কোন মন্তব্য নেই: