“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮

আমি এখন / পুনর্জন্ম…


 ।। পার্থ প্রতিম আচার্য।। 

(C)Image:ছবি













হাশরের মাঠে যখন জেগে উঠলাম
এপোকেলিপ্সের রাতে
ঝলমলে সাদা পোশাকে ঈশ্বর বাবু জিগ্যেস করলেন,
বাছাধন জানোই তো কোথায় যাবে ?
সোজা চোখ রেখে বললাম
জন্নত,কিংবা হেভেন
নতুবা স্বর্গই সই
নীচে তখন অবিরাম প্রজ্বলিত আগুন,
উপরে অদেখা জন্নত।
তিনি বললেন- কিতাব পড়োনি ?
জাননা কিছুই ?
যীশু আমি অস্ত্র ধরেছি
আমিই হজরত ভেঙ্গেছি পুতুল
শিব হয়ে করেছি তাণ্ডব
 
তুমি
কী করেছো সব জানা আছে মোর
আপো
, আপো আর আপো
মাফ করো খোদা, হে আমার ঈশ্বর
যে কিতাব পড়েছি আমি
তাতে নেই ওসব কথা-
শুধু বলা আছে-
সকলই তোমারই ইচ্ছা ,নিমিত্ত মাত্র আমি
পাতাও নড়ে তোমার ইচ্ছায় হে অন্তর্যামী
তিনি আশ্চর্যান্বিত হলেন
তারপর মেঘমন্দ্র সুরে উচ্চারিলেন বা
ণী-।
কয়ামত কে পেছনো হোল অনির্দিষ্ট কাল
 
কে বলেছে বাঁচতে হবে হয়ে ভেড়ার পাল?’
তারপর
.
এবার আমি রথের চাকা ঠেলছি।


কোন মন্তব্য নেই: